গত ২৮শে আগস্ট ২০২৫ ইং তারিখে বরিশাল থেকে প্রচারিত দৈনিক সংবাদ সকাল ও এশিয়ান টিভি ভিডিও প্রকাশ পত্রিকা-তে “বাকেরগঞ্জে পরিবার পরিকল্পনায় কর্মরত এক নারী কর্মী শ্লীলতাহানির শিকার, মামলা দায়ের -সেলিম হাওলাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ” শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তার প্রতি আমরা সেলিম হাওলাদারের পরিবারের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আমি নাছরিন আক্তার আমাদের দাবি, সংবাদে প্রকাশিত তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যমূলক ও ষড়যন্ত্রমূলক।
ঘটনার প্রকৃত বিবরণ:
গত ১৪ই আগস্ট ২০২৫ ইং তারিখে মামলার বাদী মার্জিয়া রহমান ওরফে মার্জিয়া আক্তার বিন্দু তার স্বামী মাইনুল ইসলাম ওরফে মাইদুল ফকিরের সাথে মাছের ঘেরের বার্ষিক লিজ নিয়ে কথাকাটাকাটি ও এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সিসি ক্যামেরার ভিডিও প্রমাণ রয়েছে। সেলিম হাওলাদার ওই ঘটনায় মার খেয়ে বরিশাল সদর উপজেলার বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে থানায় মামলা (মামলা নং-১০, তারিখ: ১৯ আগস্ট ২০২৫) রুজু করে। ফৌজদারি আইনের ধারা: ১৪৩/৩৪১/৩০৭/৩২৩/৩২৫/৫০৬(২) ধারা। ঠিকানা মার্জিয়া রহমান (আয়া পরিবার পরিকল্পনা, সুফল, বাংকেরগঞ্জ), স্বামীর মোঃ মাইনুল ইসলাম ফকির, সাং কর্নকাঠী, ০৯নং ওয়ার্ড, থানাঃ সন্দর সাহেবের হাট ও জেলা বরিশাল ।
এরপর গত ২৪শে আগস্ট ২০২৫ ইং তারিখে আসামি মাইনুল ইসলাম ওরফে মাইনুল ফকির গোপনে আদালতে হাজির হয়ে জামিন গ্রহণ করে প্রকাশ্যে সেলিম হাওলাদারকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ বিষয়ে সেলিম হাওলাদার আবারও থানায় জিডি করেন (জিডি নং-৮৭০/২৫)।
পরবর্তীতে একই বিষয়ে পুনরায় মাইনুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা সেলিম হাওলাদারের মাছের ঘেরে গাছ রোপণ করে, যা কেটে ফেলার পর তারা পুলিশে অভিযোগ করে। এ ঘটনায় থানায় আরেকটি জিডি রুজু হয় (জিডি নং-১৯৬/২০২৫) ০৫/০৯/২০২৫ ধারা।
সরেজমিনে পুলিশ ও সাংবাদিক তদন্তে গেলে মাইনুল ইসলাম ওরফে মাইনুল ফকির ও মার্জিয়া রহমান ওরফে মার্জিয়া আক্তার বিন্দু তার দল বল মিলে সাংবাদিকদেরও হত্যার হুমকি দেয়। সাংবাদিকরা এ ঘটনায় থানায় জিডি (জিডি নং-৩১১/২০২৫ইং, তারিখ: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) করেন।
মিথ্যা মামলা ও মানহানি:
ঘটনার পর মাইনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মার্জিয়া রহমান ওরফে মার্জিয়া আক্তার বিন্দু মাদকদ্রব্য আইনে একটি দরখাস্ত দিয়ে সেলিম হাওলাদারের বাড়ি তল্লাশি করান। কিন্তু সেখানে কিছুই পাওয়া যায়নি। ফলে আমাদের পরিবার সামাজিকভাবে মারাত্মক মানহানির শিকার হয়।
এছাড়াও, মাইনুল ইসলাম ওরফে মাইনুল ফকির ও মার্জিয়া রহমান ওরফে মার্জিয়া আক্তার বিন্দু আমাদের পরিবারের কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে, এবং চাঁদাবাজি মামলা (মামলা নং-২৫৪/২০২৫) করে । ফৌজদারি আইনের ধারা ৩২৩/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬(২)। মাইনুল ইসলাম ওরফে মাইনুল ফকির একজন আওয়ামী লীগের ক্যাডার এবং আওয়ামী লীগের কর্মী। তার কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগ থাকাকালীন দেশের মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়েছে। বিভিন্ন থানায় তার যুবলীগ সংশ্লিষ্ট নানা কর্মকাণ্ডের অভিযোগও বিদ্যমান।
অভিযোগ ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ:
আমার ভাই সেলিম হাওলাদার নিরুপায় হইয়া পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন যে, মার্জিয়া রহমান ওরফে মার্জিয়া আক্তার বিন্দু নিয়মিত অফিস না করে এলাকার মানুষকে হয়রানি করেন। তদন্তে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ তাকে বদলি করেন।
গত ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং পুরো ঘটনা আমরা বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, র্যাব-৮, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর এবং আইজিপি মহোদয় ও ডিবি অতিরিক্ত কমিশনার মহোদয় নিকট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় বরাবর সহ পুরো প্রশাসন ও কর্মকর্তাদেরকে লিখিতভাবে অবগত করেছি। প্রতিটি চিঠির ডাক রিসিভ কপি ও সরাসরি কপি এবং আইজিপি মহোদয়ের নিকট সরাসরি কপি প্রদান করেছি, তাহার রিসিভ কপি আমাদের কাছে স্বাক্ষরিত অবস্থায় রয়েছে।”।
কিন্তু তবুও গত ২৮শে আগস্ট ২০২৫ ইং আমার মেজ ভাই সেলিম হাওলাদার তার মেয়েকে মাদ্রাসায় ভর্তি করাতে যাওয়ার পথে মার্জিয়া রহমান ওরফে মার্জিয়া আক্তার বিন্দু ও তার সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা শ্লীলতাহানির অভিযোগ সাজিয়ে তাকে মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পাঠিয়েছেন।
প্রতিবাদ ও অভিযোগ:
প্রতিবাদ জানিয়ে নাসরিন আক্তার বলেন: মার্জিয়া রহমান ওরফে মার্জিয়া আক্তার বিদৃ এভাবে গ্রামের মানুষকে মিথ্যা ভাবে হয়রানি করা এবং মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের। এটি তার নেশা ও পেশায় পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে, পুলিশ প্রশাসনসহ বহু সাধারণ মানুষকে তিনি মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন। এমনকি ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করে খাওয়ার অভিযোগও তার বিরুদ্ধে রয়েছে। প্রতিটি অভিযোগ ও জিটিতে মার্জিয়া রহমানের নাম রয়েছে।
তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি আওয়ামী লীগের নেতা পরিচয় ব্যবহার করে বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছেন। চাকরিটি আসলে তার ছদ্মবেশ; মূলত প্রতারণা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে মানুষকে ফাঁসানোই তার নেশা।
তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে, আমার মেজ ভাই সেলিম হাওলাদারকেও তিনি মিথ্যা ভাবে ফাঁসিয়েছেন। এ বিষয়ে আমরা পূর্বে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের লিখিতভাবে জানিয়েছি এবং একাধিক মামলার জিডিও থানায় রেকর্ড রয়েছে। আমাদের সদর থানা বা উপজেলা বন্দর থানায় কোনো মামলা না দিতে পেরে তিনি মিথ্যা ভাবে অন্য একটি থানায়, অর্থাৎ বাকেরগঞ্জ এলাকায় বসে মামলা সাজিয়ে দিয়েছেন।
উক্ত মিথ্যা মামলা থেকে আমরা অব্যাহতি চাই এবং এ মামলা মানহানিকর হওয়ায় ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। একই সঙ্গে প্রশাসনের নিকট আমাদের জান-মাল রক্ষার স্বার্থে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। যেকোনো সময় আমাদের প্রাণনাশ বা আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া, সম্প্রতি দুইটি পত্রিকা ও কিছু ভিডিও মাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা যেন সঠিক তথ্য যাচাই করে সংবাদ প্রকাশ করেন। থানাকে ভুল বুঝিয়ে সাধারণ মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ মিডিয়ার প্রতি আস্থা রাখে, আর সেই আস্থা ভাঙতে কিছু ব্যক্তি রাজনৈতিক দালালি করে সংবাদ পরিবেশন করছে।
আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ ধরনের ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের কারণে আমাদের সামাজিক মান-সম্মান মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
আমাদের দাবি:
প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক ও উদ্দেশ্যমূলক। এটি আমাদের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার এক গভীর ষড়যন্ত্র। আমরা সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যম, কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাছি-
১. সংবাদটির প্রতিবাদ প্রকাশ করা হোক।
২. মিথ্যা মামলাগুলো তদন্ত সাপেক্ষে প্রত্যাহার করা হোক।
৪. আমাদের পরিবারকে মিথ্যা মামলার হাত থেকে রক্ষা করা হোক।
আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, নিরপেক্ষ তদন্তে সত্য প্রকাশিত হলে আমাদের নির্দোষ প্রমাণিত করা যাবে।
প্রতিবাদকারী
নাছরিন আক্তার
সাং কর্নকাঠী, ০৯নং ওয়ার্ড, থানাঃ সন্দর সাহেবের হাট বরিশাল সদর উপজেলা, বরিশাল।
বার্তা বানিজ্য কার্যালয়- ১৪৮,ওয়াটার ওয়াকারস রোড, লালবাগ ঢাকা।
ইমেইলঃ bspnews24@gmail.com
ওয়েবঃ www.bspnews24.com
2023© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত